স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আড়াই বছর বয়সের আবু তালহা নামের এক শিশু অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে শুকিয়ে কংকালসার হয়ে গেছে। আবার চিকিৎসকগণও নির্ণয় করতে পারছেন না তার কি রোগ। গনণা করা যাচ্ছে তার শরীরের সমস্ত হারগোড়। এদিকে দরিদ্র অসহায় বাবা-মার পক্ষে সঠিক রোগ নির্ণয় করে উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাড়াশ পৌর শহরের ভাদাশ মধ্যপাড়া মহল্লার জাকারিয়া ও ইতি খাতুন দম্পতির একমাত্র ছেলে আবু তালহা।
আবু তালহার বাবা জাকারিয়া জানান, ওর বয়স যখন ৭ মাস তখন থেকে খাদ্য খেলেই সঙ্গে সঙ্গে বমি হয়ে বের হয়ে যায় সকল খাদ্য। আর শুকাতে থাকে তার শরীর। আমি একজন অসহায় দিন মজুর বাবা। এলাকার চিকিৎসকদের দ্বারা সাধ্যমত চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু তাতে কোন ফল মেলেনি। অবশেষে বগুড়া শহরের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদের স্মরণাপন্ন হই। সকল প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও তিনি কোন রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। এদিকে শিশু তালহার শরীর দিন দিন শুকিয়ে একেবারে কংকাল হয়ে যাচ্ছে। পারছে না চলতে ফিরতে। রাতেও পারে না ঘুমাতে। এমন সন্তানকে অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারছি না।
আবু তালহার মা ইতি খাতুন বলেন, আমার আড়াই বছর বয়সের সন্তান তালহা খাদ্য হজম করতে না পেরে শরীর শুকিয়ে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে পৌচেছে। অথচ আমরা হতভাগ্য বাবা-মা টাকার অভাবে সন্তানকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারছি না। চেয়ে চেয়ে
সন্তানের মৃত্যুর দিন গুনছি। আল্লাহ যেন কোন বাবা-মাকে এমন অসহায় না করেন। সমাজে বিত্তবানদের নিকট তার আর্তি আপনারা একটু এগিয়ে আসুন। হাত বাড়িয়ে দিন আমার সন্তানের চিকিৎসায়। বাঁচান আমার নাড়ী ছেঁড়াধন আবু তালহাকে। আপনাদের মানবিকতার হাত বাঁচিয়ে দিতে পারে অসহায় পরিবারের একমাত্র সন্তানকে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ ইভান শাহরিরায় চৌধুরী তাশদিক, বার্তা সম্পাদকঃ এফ, এম, শামসুল ইসলাম, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ৭১, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
All rights reserved © 2019 deshbortoman.com