• বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ড্যাফোডিল আন্তঃজেলা ক্রীড়া কার্নিভালের চ্যাম্পিয়ন নওগাঁ জেলা ড্যাফোডিলে আন্তঃজেলা ক্রীড়া কার্নিভালে ফাইনালে নওগাঁ  রাজশাহীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ নাসির হোসেন অস্থিরের পক্ষ থেকে রাজশাহী বার এসোসিয়েশনে বই প্রদান রাজশাহীর মহানগরীর আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যাবসা  রাজশাহীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের কর্মী সভা  ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসী কে ‘ইঞ্জিনিয়ার কাক ’ নাকি ‘জাকারিয়া পিন্টু’ ও তার ভাই! ১৭ বছর ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন: ঝুঁকিতে রূপপুর প্রকল্পসহ হার্ডিং ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কর্মিসভায় নয়ন-কৌশিক-নাহিদের নেতৃত্বে ৪ শতাধিক কর্মীর যোগদান জেসিএমএস বিভাগের প্রাণবন্ত ইনডোর গেমস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

তাড়াশে ১৪৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার

admin / ৭৪ টাইম ভিউ
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

টাফ রিপোর্টার

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস পালনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও ১৪৩ প্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ২১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৩৬টি। শহীদ মিনার নেই ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলে ৪০টি যার মধ্যে শহিদ মিনার আছে ৮টিতে। ২০টি মাদ্রাসার একটিতেও নেই শহিদ মিনার। কারিগরি কলেজ ৬টি, শহিদ মিনার আছে ১টিতে। জেনারেল কলেজ ৮টির মধ্যে শহিদ মিনার রয়েছে ৩ টিতে ৫টিতে নেই। তবে নওগাঁ জিন্দানি কলেজে শহিদ মিনার নির্মাণাধিন রয়েছে। সরকারি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করার নির্দেশ থাকলেও ওই ১৪৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার না থাকায় ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে না নতুন প্রজন্ম। ফলে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে ভাষা আন্দলনের শহিদদের স্মরণ করা থেকে। তৃনমুল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার গড়ে না ওঠায় গুরত্ব হারাচ্ছে এই দিবসটির।
বাঁশ, কাঠ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে শহিদ মিনার তৈরী করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দু’চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গুল্টা আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সস্প্রতি শহীদ মিনার নির্মান করা হলেও, গুল্টা বাজারে পাশে গুল্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুল্টা বাজার দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ। তাড়াশে একটি সরকারি কলেজ থাকলেও শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেখানেও নেই কোন শহিদ মিনার। শিলংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, সকল প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার না থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছে না। দ্রæত সময়ের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের দাবীও জানান।
তাড়াশ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন খান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টিতে শহিদ মিনার আছে। অবশিষ্ঠ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করছি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতিমধ্যে তাগিদ দেয়া হয়েছে। প্রতি বছরে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে আমরা শহিদ মিনার নির্মান করে থাকি। এরই ধারা বাহিকতায় এ বছর এডিপি, টিআর, কাবিখা’র বরাদ্দ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শহীদ মিনার নেই এমন প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর